মাছ বাঙালীর খাবারের অত্যাবশ্যকীয় একটি অংশ। মাছ খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে প্রচুর উচ্চমানের আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান (ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি) আছে যেগুলো শরীরের বৃদ্ধিসাধন, ক্ষয়পূরন, রোগ প্রতিরোধ করে এবং শক্তি যোগায়। এছাড়াও, মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড নামে উপাদানটি শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
পুষ্টি তথ্য:
মাছের আকার ও প্রকার অনুযায়ী, এর ক্যালরী ২৫০ থেকে ১৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। মাছে কোন শর্করা ও ফাইবার/আশঁ নেই - আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন ও খনিজ লবন আছে।
উপকারিতা:
১) সকল পুষ্টি উপাদান আছে বলে মাছ শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
২) হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
৩) শারিরীক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য এবং মস্তিস্ক ও চোখ ঠিক রাখার জন্য মাছ খাওয়া প্রয়োজন
৪) মাছ খেলে বিষন্নতা কমে
৫) এতে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি আছে যা অনেক খাবারে নেই
মাছ ছোট বা বড়, সামুদ্রিক বা মিঠা পানির যাই হোক না কেন, সবই আমিষের উৎস যা সমানভাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে থাকে। স্থান ও আবহাওয়াভেদে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সাধারনত ইলিশ, রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, আইর, শোল, কই, শিং, মাগুর, চিংড়ি, বাটা, পোয়া, পার্শে, পাবদা, পুটি, সরপুটি, ট্যাংরা, বাতাসা, মলা, কাচকি, চিতল, ফলি, বোয়াল, কারফু, সিলভারকার্প, মেনি, কাকিলা, টাকি, বাইন, টাটকিনি, কাজলি, চাপিলা, গুলশা, রূপচাঁদা, ভেটকি, ছুরি, লইটা, সার্ডিন, কোরাল, সুরমা ও টুনা পাওয়া যায়।
এছাড়া নদীর বা সাগরের মাছ রোদে শুকিয়ে শুটকি মাছ তৈরী করে সেটা সংরক্ষন করা হয় পরবর্তী সময়ের জন্য।
প্রধান খাবার হিসাবে খাওয়া ছাড়াও মাছ আরো বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, যেমন - ফিশ কেক, ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ কাটলেট, ফিশ চপ, ফিশ কাবাব, ফিশ রোল, ফিশ বার্গার, ফিশ ফিলেট ইত্যাদি।